আপনি যদি মুসলিম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোর প্রতি খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন সেগুলো সম্পাদিত হয়েছে মুসলিমদের বিজয়ের সময়।
এজন্য মুসলিম আবিষ্কার এবং ইসলামী সভ্যতার প্রধান ক্রেডিট দিতে হবে সালাউদ্দীন আইয়্যুবী, তারেক বিন যিয়াদ, মুসা বিন নুসাইরদের মত বীর মুজাহিদদের। সভ্যতার প্রতিষ্ঠার জন্য আদর্শের পর সামরিক শক্তির কোন বিকল্প নেই। এজন্যই ইসলামে ই'দাদকে আমভাবে ওয়াজিব রাখা হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান সভ্যতার প্রতিষ্ঠার পর বিকাশ ও টিকে থাকার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নতি সাধন বিজয়ের সূত্র না, বরং বিজয়ের ফলাফল।
আমরা মনে করি পাশ্চাত্য স্বাধীনতা, সমতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান দিয়ে এতো উন্নতি সাধন করেছে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। পাশ্চাত্যের উন্নতির প্রধান ইতিহাস হল উপনিবেশবাদ ও লুটপাট।
মুসলিম সভ্যতার বিকাশে ইবনে হাইসাম, ফারাবীসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীদের ভূমিকা আছে। কিন্তু আমাদের দ্বীনের বিজয় এসেছে সালাউদ্দিন আইয়্যুবি ও তারেক বিন যিয়াদের হাতে। তাঁদের বিপ্লবী আদর্শ, ইখলাস ও মহান জিহা*দের মাধ্যমে।
আমরা অনেক সময় অবজ্ঞা করে বলি, বর্তমানে কেন কোন মুসলিম বিজ্ঞানী জন্ম নিচ্ছে না। আমি বলব, যতদিন উম্মতের মাঝে খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.), সালাউদ্দীন আইয়্যুবি, মুসা বিন নুসাইর, তারেক বিন যিয়াদদের জন্ম হবে না ততদিন উম্মতের ভিতর থেকে ফারাবী, ইবনে হাইসামরাও বেরিয়ে আসবে না।
লেখক: ইফতেখার সিফাত (হাফি.)