পশ্চিমাদের তৈরি কম্পিউটার, ইন্টারনেট, গুগল ব্যবহার করি কেন?
বয়কট নিয়ে কথা বললেই এই ধরনের সস্তা, থটলেস কথা শুনতে হয়। জ্ঞান কোন সভ্যতার একক সম্পত্তি না। প্রথম জ্ঞানচর্চার শুরু হয় প্রাচীন মেসোপোটেমিয়ায় (ইরাক), মেসোপোটেমিয়ায় থেকে গ্রিকরা সেটা গ্রহন করে এগিয়ে নিয়ে যায়। কাছাকাছি সময়ে চীনারা কাগজ উদ্ভাবন করে, পাক-ভারত-বাংলায় গনিতবিদরা শূন্যের ০ ব্যবহার শুরু করে। তবে চীন, দ. এশিয়া, এবং গ্রীসের মধ্যে কোন যোগাযোগ ছিল না, জ্ঞানের আদান-প্রদান হয়নি তেমন।
©কলা বিজ্ঞানী |
সপ্তম শতাব্দীতে মুসলমানেরা প্রথম বারের মত জ্ঞানকে গ্লোবালাইজ করে। পাক-ভারতের শূন্য, চীনের কাগজ, এবং গ্রীকদের বিজ্ঞান একত্রিত করে জ্ঞান চর্চাকে এগিয়ে নেয়। চতুর্দশ শতাব্দীতে মুসলমানদের থেকে (মূলত মুসলমান সিসিলি, স্পেনের মাধ্যমে) ইউরোপীয়রা জ্ঞান চর্চার নেতৃত্ব গ্রহন করে উন্নতি ঘটায়। এখনো জ্ঞান চর্চার নেতৃত্বে আছে ইউরোপীয়রা। তবে গত শতাব্দীর শেষভাগ থেকে বিবেচনা করলে পশ্চিম তার আগের কয়েকশো বছরের মত একক নেতৃত্বে আছে বলা যায় না। এখন জ্ঞানচর্চার লিভারশিপে আছে ইউরোপ এবং জাপান/দক্ষিন কোরিয়া/চীন। সম্ভাবনা আছে পরবর্তী নেতৃত্ব যাবে চীনের হাতে।
জ্ঞান কোন একটা জাতির একক মনোপলি না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানব সভ্যতা বর্তমান অবস্থায় এসেছে। যদি মুসলমানদের আল জ্যাবরা বাদ দেওয়া হয় ইন্টারনেট, কম্পিউটার পাওয়া যাবে না। পাক-ভারতের শূন্য বাদ দিলে গনিত, ডিজিটাল ব্যবস্থা বলে কিছু থাকবে না। আর চীনের কাগজ বাদ দিলে আমাদের এখনো প্রিমিটিভ যুগে বাস করতে হবে৷
আকাটা মূর্খগুলোকে এটা কে বোঝাবে?
লেখকঃ মীর সালমান শামিল